ধৈর্যশক্তি বাড়াবে যে ১০টি কার্যকরী কৌশল
আমি আর পারছি না”
“আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না, হচ্ছেও না”
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন একটি সময় আসে, যখন আমরা কোনো না কোনো সময় এই কথাগুলোর সম্মুখীন হই। জীবনের উঁচু নিচু পথ পাড়ি দিতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি।আমরা জানি না, প্রত্যেক সফল মানুষের জীবনের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যর্থতা। কিন্তু তাদের সফলতার রহস্য হলো, প্রবল ধৈর্যের সাথে ইচ্ছা শক্তি।
যদি আপনার ধৈর্য কম হয়ে থাকে তাহলে তা কয়েকটি উপায়ে ধীরে ধীরে অনুশীলনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে পারেন। জেনে নিন সেই উপায় সমূহ..
১.আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন:
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধু ধৈর্য বাড়ায় তা নয়, সফলতা অর্জনেও সাহায্য করে।
২. নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস করুন:
ডায়েরি লেখার অভ্যাস ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন- যেকোনো একটি দিনের একটি ঘটনা খুব ভাবাচ্ছে বা যা আপনাকে অস্থির করে তুলছে।
৩.ধীরে ধীরে খাবার খান:
প্রশ্ন আসতে পারে, খাবারের সাথে মনের কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। দ্রুত খেলে আপনার পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক হয়ে স্থূলতার কারণ হবে।
৪.সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন:
সঠিক খাদ্যাভাস দেয় সুস্থ দেহ। শরীর ভাল থাকলেই আমাদের মনের অস্থিরতা কমে যায়। মন ফুরফুরে থাকে।
৫.মেডিটেশন করুন:
মেডিটেশন বা ধ্যান হল ধৈর্য বাড়ানোর একটি অনন্য কার্যকরি উপায়। যেকোনো মানসিক চাপ থেকে মুক্তি লাভের উপায় হলো মেডিটেশন। ধৈর্যহীন মানুষের মধ্যে খুব অল্পতেই রেগে ওঠার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। মেডিটেশন আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে মানুষ সহজেই রেগে ওঠে না।
৬. বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন:
আমাদেরকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই পড়া মানসিক চাপ কমায়। মনকে ধীর স্থির করে তোলে। ভালো বই কেবল ধৈর্য শক্তিই বাড়ায় না, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও পালটে দেয়।
৭.বাস্তববাদী হয়ে উঠুন:
বাস্তবতা কঠিন আমরা সবাই জানি। এবং তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।
৮.নেগেটিভ চিন্তা একবারে বাদ দিন:
যেকোন কাজে অগ্রসর হওয়ার আগে চিন্তা করে নিতে হবে কাজের সুফল ও কুফল। ইংরেজী তে বলা হয় “ Expect the Unexpected”। শুধুমাত্র লাভের কথা ভেবে অগ্রসর হলেই হবে না।
৯.নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না:
নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। অন্যরা কি করল তাতে নজর না দিয়ে নিজের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
১০.নিজেকে সময় দিন:
মাঝে মাঝে নিজেকে সময় দেওয়া খুব জরুরী। দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে আমরা নিজেকে ভুলে যাই। ভুলে যাই আমাদেরও দরকার বিশ্রাম।
তাই ছোট কোন ছুটি নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। দেখে আসতে পারেন সমুদ্র, ঝর্ণা কিংবা পাহাড়। প্রকৃতির বিশালতা মনকে শান্ত করতে পারেন সাথে পরিবারেরর সদস্যদেরও নিতে পারেন।